
দক্ষিণ এশীয় কৃষি গবেষণার ওপর শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গাকৃবি) গ্রন্থাগারে একটি সার্ক কৃষি কেন্দ্র বুক কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এ বুক কর্নারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জিকেএম. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশিদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ময়নুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইউনুস মিয়া।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (লাইভস্টক) ড. মো. ইউনুস আলী, (ক্রপস) ড. সিকান্দার খান তানভীর, এবং (ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) ড. রাজা উল্লাহ খান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ২০০টি গবেষণামূলক বই নিয়ে গঠিত এই বুক কর্নারে কৃষি, উদ্যানতত্ত্ব, পশুপালন, হাঁস-মুরগি, মৎস্য, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, খরা ও লবণাক্ততা-প্রবণ অঞ্চলের জন্য অভিযোজন কৌশলসহ নীতিগত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রকাশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জিকেএম. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এই বইগুলোতে সমৃদ্ধ গবেষণা ও বিশ্লেষণ রয়েছে, যা আমাদের শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করবে।”
সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশিদ বলেন, “এই বইগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কৃষি গবেষক ও একাডেমিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতিফলন। পোস্টগ্র্যাজুয়েট, পিএইচডি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এগুলো একান্ত প্রয়োজনীয় রেফারেন্স ম্যাটেরিয়াল।”
তিনি আরও জানান, সার্ক কৃষি কেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়ায় কৃষি ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা, নীতিনির্ধারণী সংলাপ ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রকাশনা, কর্মশালা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞান ছড়িয়ে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, সার্ক কৃষি কেন্দ্র এখন পর্যন্ত ২৫০টিরও বেশি কৃষি-গবেষণাভিত্তিক বই প্রকাশ করেছে এবং তা নিয়মিতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করছে।