
যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে আগামী ৬ মে দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওইদিন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
রোববার (৪ মে) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে পৌঁছানোর পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান খালেদা জিয়ার বাসা পর্যন্ত তাকে স্বাগত জানাবেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তারা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান নেবে লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত অবস্থান নেবে যুবদল।
হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত অবস্থান নেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
স্বেচ্ছাসেবক দলের অবস্থান থাকবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত কৃষক দল, কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত শ্রমিক দল, শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে।
মুক্তিযোদ্ধা দল ও সকল পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান নেবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত, মহিলা দল গুলশান ২ নম্বর গোল চত্বর থেকে গুলশান এভিনিউ পর্যন্ত, বিএনপির নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান করবেন। আর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা যার যার সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, সব নেতাকর্মী দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে দাঁড়াবেন। বিএনপির চেয়ারপার্সনের গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে না। হেঁটে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিমানবন্দর ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
এমআইএম