
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডারে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব। তবে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় পলাতক আসামি।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ মাসের শেষ দিকে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের আওতায় পৌর এলাকায় উন্নয়নকাজের জন্য ১৩টি গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রতিটি গ্রুপে ৫৩টি করে দরপত্র জমা পড়ে। এতে প্রতিটি গ্রুপেই অংশ নেন রেজওয়ানুল হক বিপ্লব।
গত ১৬ এপ্রিল দরপত্রের লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে উপজেলা পরিষদ সড়ক থেকে উপজেলা ভূমি অফিসের পাশ দিয়ে রেললাইন মসজিদ পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের প্রায় ১২ লাখ টাকার কাজ পান বিপ্লব। বিষয়টি শুরুতে গোপন রাখার চেষ্টা করা হলেও পরে জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সিহাব বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট রেজওয়ানুল হক বিপ্লবের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। সেই মামলার পলাতক আসামি কীভাবে পৌরসভার টেন্ডারে অংশ নিয়ে কাজ পেলেন, তা আমরা বুঝতে পারছি না। একটি চক্র অপরাধীদের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে। আমরা এই লটারি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী শাহজাহান বলেন, ‘বিএনপির লোকজন বিপ্লবের লাইসেন্স দিয়ে দরপত্র জমা দিয়েছে বলে শুনেছি। আমি নিষেধ করলেও তারা শোনেনি।’
তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতার লাইসেন্স দিয়ে বিএনপির কেউ দরপত্র জমা দিয়েছে, এ কথা আমি জানি না। তাছাড়া একজন পলাতক আসামি কীভাবে টেন্ডারে অংশ নিলেন, এ প্রশ্ন আমাদেরও।’
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রেজওয়ানুল হক বিপ্লব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় পলাতক রয়েছেন। তিনি টেন্ডারে অংশ নিয়েছেন, এ বিষয়ে জানি না।’
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’
রেজওয়ানুল হক বিপ্লব পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমআইএম