আতিকুর রহমান রুমন। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী নন, বরং দায়বদ্ধতার আদর্শ প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক-নির্দেশনায় নানা সংকটকালীন মুহূর্তে একজন বিশ্বস্ত অনুসারীর মতো অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। দিন-রাত ছুটছেন দেশের নানা প্রান্তে, বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন জাতীয়তাবাদের।
সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় ঘটেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি। ঘটনার দিন ভয়াবহ প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যখন অনেকেই স্তব্ধ, কেউ কেউ অপেক্ষমাণ—ঠিক তখনই আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন ছুটে যান ঘটনাস্থলে। ভয়, নিরাপত্তাহীনতা কিংবা রাতের আঁধার তাকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। ঘটনাস্থলের সামনে থেকে সরাসরি ভিডিও ও তথ্য সংগ্রহ করে সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠিয়ে দেন প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে। যেন কেউ একটি ঘটনার নেপথ্যে কিছুই না হারায়—সত্যটা সম্পূর্ণ রূপে স্পষ্ট থাকে। কিন্তু শুধু তথ্য পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ নয়।
আতিকুর রহমান রুমন গভীর রাত পর্যন্ত ছিলেন রাজধানীর একটি বার্ন ইউনিটে; আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশে। কার কী অবস্থা, কার প্রয়োজন রক্ত, কার প্রয়োজন অপারেশন—সবকিছু খুঁটিয়ে দেখেছেন। একজন দায়িত্ববান অভিভাবকের মতো, একজন ভাইয়ের মতো তিনি ছিলেন অসহায় আহতদের আশার আলো হয়ে।
আতিকুর রহমান রুমনের এই ভূমিকা শুধু একদিনের নয়—বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন, প্রতিটি দুঃসময়ে তাকে আমরা এভাবেই রাজপথে, মানুষের পাশে পেয়েছি। তিনি যেন এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা, যিনি নেতৃত্ব মানে শুধুই নির্দেশ নয়, বরং পাশে দাঁড়ানো, দায়িত্ব নেওয়া, এবং নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার অন্য নাম।
এমন মানুষদের কারণেই একটি রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠে গণমানুষের আশা—আর আতিকুর রহমান রুমন সেই আশার বাতিঘর।
লেখা- আব্দুল্লাহ আল মিসবাহ
