
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ না করায় বগুড়ার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের কল্যাপাড়া থেকে কল্যাপড়া ফাজিল মাদ্রাসা অভিমুখী সড়টির এক বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই গ্রামের সাধারণ মানুষসহ গ্রামে অবস্থিত দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, এলজিইডির অর্থায়নে ৯৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে কল্যাপাড়া গ্রাম থেকে কল্যাপাড়া আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা পর্যন্ত ৯শ’ মিটার সড়কটি পাকাকরণের কাজ শুরু করা হয়। তবে আগে পুরো সড়কটি ছিল ইটের সলিং বিছানো। প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার সড়কের সলিং এর সব ইট তুলে ফেলে এবং ওই ইটগুলো ভেঙ্গে খোয়া তৈরী করে। ইট ভাঙ্গার কাজ শেষ হবার পর থেকেই সড়ক নির্মাণের কাজও বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার কারণে চলতি বর্ষা মৌসুমের সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি কাদায় একাকার হয়ে যাওয়ায় গ্রামের মানুষ সহ গ্রামে অবস্থিত দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবং যানবাহান চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, এই সড়কে ইট বিছানো ছিল, সেটাই ভাল ছিল। কিন্ত ঠিকাদার পুরো সড়কের ইট তুলে ফেলায় গ্রামবাসীকে চরম বেকায়দায় ফেলে দিয়েছেন।
তারা বলছেন, ঠিকাদার সড়কের যেসব ইট তুলে খোয়া তৈরী করেছিল সে খোয়াগুলোও নাকি তেমন একটা নেই। অপরদিকে এ সড়কটির মাধ্যমে কল্যাপাড়া গ্রামের মানুষ অতি সহজেই উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে বলে সড়কটি গ্রামবাসীর কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে কি কারণে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সড়ক নির্মানের কাজ বন্ধ রেখেছেন তা বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে কল্যাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রায় মাদ্রাসার ৪০০-৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাতায়াত করে এবং কল্যাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা চলাফেরা করে। এই রাস্তার ইট তোলার ফলে পুরো রাস্তা কাদাযুক্ত হয়েছে। এতে গ্রামবাসী ও এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগে পড়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করলেও কাজের অগ্রগতি দেখতে পাইনি।
কাহালু উপজেলার জামায়াত আমির আবু দাউদ বলেন, যে প্রতিষ্ঠান কাজটি নিয়েছেন তাদেরকে দ্রুতই কাজটি করে দিয়ে জনদূর্ভোগ থেকে বাচাঁনোর জন্য অনুরোধ করছি। অন্যথায় আমরা এলাকার জনসাধারণ কে সাথে নিয়ে কাহালু উপজেলা ঘেরাও করতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে মালঞ্চা ইউ’পি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিনের বলেছেন, বিষটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেছেন, এই কাজটি নিয়ে বেশ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে আসন্ন ঈদ-উল আযহার আগেই জনদুর্ভোগ লাঘবে সড়কটিতে বালি ও খোয়া দিয়ে গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য উপযুক্ত করে দেওয়া হবে।